তিনটি ইউনিয়নে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন ওবায়দুল কাদের ও কাদের মির্জার তিন ভাগনে। তাঁরা মিজানুরের অনুসারী। এর মধ্যে রামপুরা ইউপিতে জয় পেয়েছেন সিরাজিস সালেকিন ও চর ফকিরা ইউপিতে জয় পেয়েছেন জয়দল হক। পার্বতী ইউপিতে জামায়াত–সমর্থিত প্রার্থীর কাছে হেরে গেছেন কাদেরের আরেক ভাগনে মাহবুবুর রশিদ।
ফেসবুক লাইভে কাদের মির্জা লাইভে উঠে আসে তাঁর ভাইয়ের সঙ্গে বিরোধিতার প্রসঙ্গও। তিনি বলেন, ‘গোলাগুলি করে হিন্দু ভোটারদের কেন্দ্রে যেতে না দিয়ে এখানে (চর পার্বতী ইউপি) জামায়াতের প্রার্থীকে জেতানোর জন্য সহযোগিতা করেছে এখানকার প্রশাসন। দীর্ঘক্ষণ পর্যন্ত এখানে চেষ্টাও করেছে জামায়াতের প্রার্থীকে হারিয়ে তাঁর ভাগনেকে জেতানোর জন্য। সে ৩ নম্বর ছিল বিধায় সেটা সম্ভব হয়নি। প্রশাসনকে লেলিয়ে দিয়ে রামপুরে ৭০০ ভোটে এক ভাগনেকে জিতিয়ে দেওয়া হয়েছে।’
কাদের মির্জা আরও বলেন, ‘চর ফকিরাতে সকাল বেলায় তিনটি কেন্দ্র দখল করে মন্ত্রীর আরেক ভাগনে ফুফাতো বোনের ছেলে জায়দল হককে সেখানে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত করা হয়েছে। তাহলে দেখেন, এই নির্বাচন করার কী দরকার ছিল। আপনি ঘোষণা দিয়ে নিয়ে যেতেন, আপনার খেয়ালখুশিমতো জিতিয়ে নিতেন। মুছাপুরে আইয়ুব আলী জিতেছেন, কান্নাকাটি করে প্রশাসনকে টাকা দিয়ে। ওবায়দুল কাদেরের সাজানো নির্বাচন আমরা মেনে নিতে পারি না। আমরা আগামীকাল আমাদের নেতাদের নিয়ে বসব, সিদ্ধান্ত নেব। আজ আমাকে দাফন করেছে কোম্পানীগঞ্জ। আমার ৪৮ বছরের রাজনীতি। জীবনে রাজনীতিতে কোনো পদপদবিতে যেতে পারিনি, সে দেয়নি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা করতে গেছি, সেখানেও পড়ালেখা করতে দেয়নি।’
১৫ মিনিট ৪৯ সেকেন্ডের লাইভ বক্তৃতায় কাদের মির্জা আরও বলেন, ‘আমাদের জন্য রাজনীতি আসেনি। রাজনীতিতে অস্ত্রের প্রয়োজন, টাকার প্রয়োজন। ওবায়দুল কাদের সাহেবেরা পারে না, এমন কোনো কাজ নেই। এটা তাঁদের পক্ষেই সম্ভব। আমার ছেলেকে দুবার মেরেছে। একবার সহানুভূতিও দেখায়নি। ওবায়দুল কাদের এত হিংস্র। তাঁর ভাগনেকে দিয়ে আমার ছেলের ওপর আঘাত করেছে রামপুরে।’
কাদের মির্জার অভিযোগের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান সোমবার রাত ১০টায় এক সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘উনি ওনার মতো করে অভিযোগ করেছেন। এ বিষয়ে আমাদের কোনো বক্তব্য নেই। আমরা কী ধরনের নির্বাচন করেছি, তা কোম্পানীগঞ্জের মানুষ দেখেছেন।’